আ হ জুবেদ: মোরশেদ মোস্তফা, প্রবাসী বাংলাদেশী এক তরুণের নাম। কুড়ি-পঁচিশের মাঝামাঝি বয়েসের এ তরুণের জন্ম কুয়েতে, বেড়ে উঠাও কুয়েত, এমনকি লেখাপড়ার শুরু ও শেষটাও কুয়েতে।
তরুণ মোরশেদ বাংলাদেশী নাগরিক হয়েও খেলছেন কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলে।
প্রবাসে যেকজন বাংলাদেশী বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন, তাঁদের তালিকায় এবার নাম লিখিয়ে নিলেন কুয়েত প্রবাসী সূর্য সন্তান মোরশেদ।
কুয়েত জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় কুয়েতের প্রতিনিধিত্ব করে। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সহযোগী সদস্যপদ লাভ করা দেশটির ক্রিকেট কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আইসিসির অনুমোদিত সদস্য দেশ ছিল কুয়েত।
১৯৭৯ সালে কুয়েতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়, তবে দেশটি নিয়মিত ভাবে ২০০০ সালের পর থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করে। ২০০০ সালের পর থেকে কুয়েত নিয়মিতভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। ২০১০ এর দশকের শুরুর দিক থেকে বিশ্ব ক্রিকেট লীগ-এর বিভিন্ন আসরে অংশ নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি। যদিও কুয়েত ২০১৩ ষষ্ঠ বিভাগ টুর্নামেন্টের পর আঞ্চলিক পর্যায়ে অবনমিত হয়।
২০১৭ সাল থেকে কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশী মোরশেদ মোস্তফা।
মোরশেদের ক্রিকেট অঙ্গনের ক্যারিয়ার শুরু অনুর্ধ ১৬ ও ১৯ দিয়ে, পরে ক্রিকেটের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা আর যোগ্যতার সুবাদেই মোরশেদ স্থান করে নেন কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলে।
কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলে তালিকাভুক্ত ৪৫০ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় মোরশেদের নামটিও যোগ হয় ২০১৭ সালে।
কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাওয়ার পর মোরশেদ ওমান, মালদ্বীপ, কাতার সহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন।
মোরশেদ জানান, আইসিসি র্যাঙ্কিং-এ ২৮ নম্বরে থাকা কুয়েত ক্রিকেট দলের ক্রমাগত উন্নতি ও কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক সহযোগিতা ও বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধে পাচ্ছেন কুয়েতের জাতীয় ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত খেলোয়াড়রা।
মোরশেদ কম-বেশি সব খেলাই ভালোবাসেন, তবে ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর সবচেয়ে বেশি ভালোলাগা আর ভালোবাসা।
ক্রিকেট খেলায় উৎসাহ যোগানোর পিছনে বাবার ভূমিকার কথাও জানান মোরশেদ।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাবাজ পুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বাবার ছেলে মোরশেদ মোস্তফা কুয়েতের ক্রিকেট অঙ্গনে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বের সর্বত্রে ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।